news bazar24: আর কদিন পরেই মহালয়া। আর মহালয়ার পরেই শুরু হয় প্রথমা অর্থাৎ দেবীপক্ষ। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত সবাই মায়ের আরাধনা নিয়ে নিজেকে ব্যাস্ত রাখবেন । আর মহালয়ার ভোর মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চণ্ডীপাঠ, পূর্বপুরুষ দের উদ্দেশ্যে তর্পণ।

কিন্তু যদি বলা হয় মহালয়া মানেই দেবীর বোধন থেকে দুর্গাপূজা, তাহলে? মানলেন নাতো ? আপনি কি জানেন এই বাংলায় এমন একটি স্থান আছে যেখানে মহালয়ার দিনেই দেবীর বোধন হয়, একই দিনে বিসর্জন হয়। অর্থাৎ পাঁচদিন নয়, একদিনের পুজো।

শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। দামোদর নদীর তীরে পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুরের ধেনুয়া গ্রাম। নদীর তীরে রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। আর সেই আশ্রমেই চলছে দুর্গাপুজোর এই অভিনব নিয়ম। কথিত আছে, ১৯৭৮ সালে তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পূজা শুরু করেন। সেই থেকে মহালয়ার দিনে এই আশ্রমে দেবীর আরাধনা করা হয়।

শুধু তাই নয়, প্রতিমাতেও রয়েছে অভিনবত্ব। এই পুজোয় মা তার সন্তানদের মোটেও সঙ্গে আনেন না। পরিবর্তে দুই বন্ধু জয়া ও বিজয়াকে নিয়ে একসঙ্গে থাকেন। একই সময়ে ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পূজা হয়। আসামের বিভিন্ন জেলায় শক্তিপূজার এই বিশেষ রীতি প্রচলিত রয়েছে। এই ধেনুয়া গ্রামের আশ্রমেও একই ধারা বিরাজ করছে। বোধন থেকে বিজয়াদশমী পর্যন্ত প্রতিটি অনুষ্ঠান ভক্তিভরে পালিত হয়। যাইহোক, সময়ের স্বল্পতার কারণে, প্রতিটি আচার খুব সংক্ষিপ্ত কারে হয় ।

এমনকি একদিনের পূজার অর্থও এই নয় যে দুর্গাপূজা সারা দিন ধরে হয়। বরং মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে সব নিয়মকানুন সেরে পুজো সম্পন্ন হয়। পূজার প্রবর্তক তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর নির্দেশে গত অর্ধশতাব্দী ধরে কঠোরভাবে এই দুর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে। তবে একদিনের পুজো হলেও পুজোর আড়ম্বর আর আড়ম্বরে কমতি নেই। এমনকি এই অভিনব পূজার সাক্ষী হতে প্রতি বছর মহালয়ার দিন এই আশ্রমে ভক্তদের ভিড় জমে।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *