news bazar24 : বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা থেকে সরাসরি হুগলি কেওটায়। বাংলাদেশের শিল্পী দীপু বিশ্বাসের শিল্পের ছোঁয়ায় সুদূর বাংলার শারদোৎসবের থিম ধীরে ধীরে জীবন্ত হয়ে উঠছে এপার বাংলায় । দেশের সীমানা পেরিয়ে বাঙালির শারদোৎসব আসলে সার্বজনীন। অস্থির বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বর্তমানে মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শাসন করছে। এ ঘটনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিলে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সুসম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। যাইহোক, সময়ের সাথে সাথে সম্পর্কের উষ্ণতা অদৃশ্য হয়ে যায়। পরিস্থিতি এখন খুবই স্বাভাবিক। দুই বাংলার শিল্প বিনিময় করছে। এখন ডিম, পেঁয়াজ প্রভৃতি পণ্য ভারত থেকে পাড়ি জমাচ্ছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে। এছাড়া দুর্গাপূজার আগেই সুদূর বাংলায় এসেছে পদ্মার ইলিশ। ভারতেও চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সিরিজ। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতির লক্ষণ দেখা গেছে।
এবার শিল্পের আদান-প্রদান সেই সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলে আশা করছেন দুই দেশের শিল্পীরা। তাই প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গা মণ্ডপে কাজ করতে এসেছেন বাংলাদেশের শিল্পী দীপু বিশ্বাস। দীপু বিশ্বাস বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরে বসবাস করেন।
এ বছর হুগলি কেওটা নবীন সংঘের দুর্গা মণ্ডপে তাঁর হাত থেকে ফুটে উঠছে নানা শিল্প ভাস্কর্য। দীপু বাংলাদেশের বিএল কলেজের ইতিহাসের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তবে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি মাটির ভাস্কর্য তৈরির নেশা ছিল তার। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মাটির কাজ দেখে মুগ্ধ ওপার বাংলার নবদ্বীপ আর্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক রঙ্গজীব রায়৷ এরপর তিনি দিপুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দীপু মণ্ডপের দেয়ালে পৌরাণিক দেব-দেবীর ভাস্কর্য চিত্রিত করতেন। আর সেটাই করছেন নবীন সংঘের মণ্ডপে।
রঙ্গজীব বলেন, একজন শিল্পীর কোনো দেশ নেই, কোন ধর্ম হয়না । তার শিল্পকর্ম সর্বত্র সমাদৃত। তিজি দিপুর খোঁজ পান । তার হাতের কাজ দেখে সে অবাক হয় । বাস্তবে, দিপুরের হাতের কাজ আশ্চর্যজনক। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা এই মণ্ডপে থিমের কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে শিল্পী দীপু বিশ্বাস বলেন, তিনি ভিসা নিয়ে এদেশে এসেছেন। তিনি মূলত মাটির কাজ করেন। কিন্তু এখানে এসে দেখেন সিমেন্ট বালির কাজ হচ্ছে। এতে তার কোনো সমস্যা নেই। কাজ শেষ করেই নিজের দেশে ফিরবেন।