newsbazar 24 ঃ . এবারের পুজোর ছুটির আনন্দ উপভোগ করতে হলে চলুন সুন্দরবনের সজনেখালিতে। ভাগ্য সহায় থাকলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখাও মিলে যেতে পারে। আসুন সজনেখালির ইতিহাসটা একটু জেনে নি।
ম্যানগ্রোভ, নদী এবং অন্যান্য গাছ-গাছালি দিয়ে ঘেরা এই অরণ্যে দেখা মেলে নানা প্রজাতির জীব-জন্তু। এখানে চিত্রা হরিণ, মেছো বিড়াল, লাল বান্দর, বাংলা বাঘ, দেশি বন শুকর, ভোঁদড়, গুই সাপ, লোনা জলের কুমির, জলপাইরঙা সাগর কাছিম, কেটো কচ্ছপ, এবং নানা প্রজাতির পাখি দেখা যায়। কপাল ভালো থাকলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখাও মিলে যেতে পারে। এখানে পর্যটকদের প্রকৃতিকে আপন করে নাওয়ার অনেক সুযোগ থাকে। সুন্দরী, গরান, গেঁও-এর বন এবং মাতলা ও গুমদি নদীর ছোঁয়া এই স্থানকে আরও দর্শনীয় করেছে করেছে।
কীভাবে যাবেন সজনেখালি। ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং।সেখান থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরে সজনেখালি। গাড়ি কিংবা বাসে পৌঁছে যাওয়া যাবে সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। কলকাতা থেকে বাসন্তী বা সোনাখলি সেখান থেকে নৌকায় পৌঁছনো যায় সজনেখালি।
সজনেখালি থেকে ট্যুরিস্ট পারমিশন আর গাইড নিয়ে লঞ্চে ভেসে পড়তে হবে টাইগার রিজার্ভের অন্য জায়গাগুলি ঘুরে দেখার জন্য। সজনেখালিতে ম্যানগ্রোভ ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার, ওয়াচ টাওয়ার, পাখিরালয়, কুমির পুকুর, কচ্ছপ পুকুর, কামট পুকুর, বনবিবির মন্দির প্রভৃতি দর্শনীয়।
সজনেখালিতে থাকার নানান ব্যাবস্থাও আছে। জেটি ঘাটের কাছেই পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের সজনেখালি ট্যুরিস্ট লজ। গোসাবাতে হোটেলেও থাকা যায়। এ ছাড়া গোসাবা দ্বীপের পাখিরালয় গ্রামে জেলা পরিষদের ট্যুরিস্ট লজ আছে। পি ডব্লু ডি ও সেচ দফতরের বাংলোও আছে গোসাবায়। পাখিরালয়ের কাছেই টেগোর সোসাইটি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্টের গেস্টহাউস। পাখিরালয়েও বেশ কিছু হোটেল আছে। নামখানায় থেকে লঞ্চে বেড়িয়ে নেওয়া যায় সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের দিকটা ।
সুন্দরবনে প্রবেশের জন্য অনুমতি প্রয়োজন – চিফ কনসারভেটর অব ফরেস্ট, গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল, থার্ড ফ্লোর, পি-১৬ ইন্ডিয়া এক্সচেঞ্জ প্লেস, কলকাতা-৭০০০০১ বা ফিল্ড ডিরেকটর, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ, ক্যানিং, সাউথ ২৪ পরগনা। সজনেখালির বিট অফিস থেকে সুন্দরবনের বিখ্যাত মধু কেনা যায়।