Newsbazar 24:-আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের নিজের ভাষায় মন্ত্র পাঠে শুরু হয় দুর্গার আরাধনা। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো নিয়ে আদিবাসী মানুষদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এখনো বিরাজমান।আদিবাসীদের রীতিনীতি
মেনে চারদিন ব্যাপি চলে দেবীর আরাধনা। পুজোর চারদিন উৎসবে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এই পূজোটি চলে আসছে মালদহের হবিবপুর থানার আদিবাসী অধ্যুষিত কেন্দপুকুর এলাকার ভাঙ্গা দিঘি গ্রামে।গ্রামের মধ্যে ছোট্ট একটি টিনের ঘরের মধ্যে রয়েছে মা দুর্গার বেদী সেখানেই এই পুজো হয়। ।
কেন্দপুকুর ভাঙাদিঘি এলাকার প্রাচীন এই দুর্গাপুজো ঘিরে রয়েছে এক ইতিহাস। ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রবীণ বাবুল হাঁসদা জানান তাদের এই পুজোটা শুরু হয়েছিল ঠাকুরদার আমলে বাংলাদেশে।এক সময় এই পুজো ছিল পরিবার কেন্দ্রিক।
১৫০ বছরের পুরোনো এই দুর্গা পূজোর প্রচলন করেছিলন লব হাঁসদা। স্বপ্নাদেশ পেয়েই নাকি দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেছিলেন লব হাঁসদা। তখন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার, নাচোল থানার হাকরোল গ্রামে থাকতেন লব হাসদাঁ।লব হাঁসদার প্রচলিত দুর্গাপুজো বর্তমানে সার্বজনীন দূগোৎসবে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবার গুলি এই পূজো পরিচালনা করেন নিজেস্ব ঢঙে। পুজোর চার দিন এখানে পংক্তি ভোজনের আয়োজন করে থাকেন আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। ব্রাহ্মণ পুরোহিতের বদলে একজন প্রবীণ আদিবাসী তাঁদের নির্দিষ্ট ধর্মীয় রীতি মেনে দেবী দুর্গাকে পুজো করেন। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে দেবীর বোধন। হবিবপুরের ভাঙাদিঘিতে এখন জোর কদমে চলছে পূজো প্রস্তুতি। গ্রামের এই পুজো সুসম্পন্ন করার জন্য গ্রামের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *